সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০২২-০৯-২১ ১১:২১:৪২
প্রকল্প পরিচিতি
কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প
বর্তমান
কৃষি বান্ধব সরকারের যুগোপযোগী নীতির কারণে বাংলাদেশের কৃষি আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের
জন্য একটি রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। কৃষির সকল সেক্টরেই আমাদের সফলতা অভাবনীয়।
মাঠ ফসল বিশেষ করে দানা জাতীয় শস্য উৎপাদনে আমরা বিগত কয়েক বছর ধারাবাহিকভাবে সাফল্য
অর্জন করে আসছি। এ অর্জন ধরে রাখার পাশাপাশি আমাদের এখন নজর দিতে হবে উদ্যান ফসল উৎপাদনে
স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে। আমাদের বিদ্যমান খোরপোশের কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক করতে
নতুন সম্ভবনাময় ফসলের দিকে নজর দিতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজুবাদাম ও কফির আন্তর্জাতিক
বাণিজ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে আবাদ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
*** পার্বত্য
চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য পাহাড়ী এলাকার ভূ-প্রকৃতির অবস্থান ও আবহাওয়া বিবেচনায়
কফি ও কাজুবাদাম জাতীয় ফসল আবাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। দরিদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের
এসকল ফসল আবাদে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। এমতাবস্থায়, কাজুবাদাম ও কফির উৎপাদন বৃদ্ধি,
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা, পুষ্টি চাহিদা পুরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য গুণগতমান সম্পন্ন ও নিরাপদ খাদ্য চাহিদা পূরণ,
২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে কৃষি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারসহ কৃষিতে
বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে এবং সহনীয় কৃষি ব্যবস্থার উপর গবেষণা
ও উন্নত জাত ও কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে “কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন
ও সম্প্রসারণ প্রকল্প” শীর্ষক এ প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়েছে।
বিশে বৃক্ষ
জাতীয় ফসলের বাণিজ্যে কাজুবাদাম তৃতীয় এবং বাদাম জাতীয় ফলের বাণিজ্যে কাজুবাদাম প্রথম
স্থান দখল করে আছে। বর্তমানে সারা বিশে কাজুবাদামের বৈশিক বাণিজ্য ১০.০০ বিলিয়ন ডলারের
মত। এর মধ্যে ভিয়েতনামই করে ৪.০০ বিলিয়ন ডলারের মত। বর্তমানে সারা বিশে^ মোট ৫৯.৩০
লাখ টন কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় ভিয়েতনামে। ২০১৮ সালের হিসাব মোতাবেক ভিয়েতনাম এর সর্বমোট উৎপাদিত কাজুবাদামের
পরিমাণ ২৬.৬৬ লাখ টন যা বৈশিক উৎপাদনের ৪৪.৯০ ভাগ। অন্যদিকে বিশে মোট ৯০ লাখ টন কফি
উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিশি উৎপাদিত হয় ব্রাজিলে। ২০২০ সালের হিসাব মোতাবেক ব্রাজিল
এর সর্বমোট উৎপাদিত কফির পরিমান ৩৫.৫৮ লাখ টন যা বৈশিক উৎপাদনের ৪০ ভাগ। ভিয়েতনামে
সর্বমোট কফির উৎপাদন হয় ১৮.৩০ লাখ টন। বিশে
প্রতি বছর প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের কফির বাণিজ্য হয়ে থাকে।
প্রাথমিক
অবস্থায় কাজু বাদাম গাছ পাহাড়ি অঞ্চলে কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রমের সাথে ভূমিক্ষয়, ভূমিধ্বস
ইত্যাদির জন্য লাগানো হলেও বর্তমানে এই গাছটি
দ্রুত বর্ধনশীল, পরিবেশ বান্দব এবং লাভজনক।
ইহার বীজ থেকে পাওয়া বাদাম সুস্বাদু, মুখরোচক ও পুষ্টিকর এবং অর্থনৈতিক দিক
দিয়েও মূল্যবান। বাদামের খোলসের তেল শিল্প
কাজে ব্যবহৃত মূল্যবান দ্রব্য। তাছাড়া বাদামের
ওপরের অংশে ফল থেকে জুস, ভিনেগার এবং এলকোহল তৈরী করা যায়। আমাদের দেশের জলবায়ু কাজুবাদাম
চাষের বেশ সহায়ক। পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপক কাজুবারাম চাষের উজ্জল সম্ভবনা রয়েছে। কেননা
এখানে স্বল্প মূল্যে প্রচুর জমি পাওয়া যায়, যেখানে কাজুবাদাম চাষ করার যথেষ্ট সুযোগ
রয়েছে।
আর ক্যাফেইন
সমৃদ্ধ কফি পৃথিবীতে অন্যান্য পানীয় এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি সমাদৃত। কফি কাজ করার
সামর্থ বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন কয়েক কাপ কফি পানে দীর্ঘ জীবন লাভ করা
যায়। এ পানীয় ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজ করে।
কফি পৃথিবীর প্রায় ৭০ টি দেশে উৎপন্ন হয়ে থাকে। কফির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে
বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় রুমা উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রচুর কাফি চাষ হচ্ছে। এখন কার আবহাওয়া কফি চাষের জন্য উপযুক্ত। এদেশে
কফি চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানির যথেষ্ট সুযোগ
রয়েছে।
পার্বত্য
চট্টগ্রাম সহ দেশের অন্যান্য পাহাড়ি এলাকার ভূ -প্রকৃতির অবস্থান ও আবহাওয়া বিবেচনায়
কফি ও কাজু বাদাম জাতীয় ফসল আবাদের অনেক সুযোগ রয়েছে। দরিদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের
এসকল ফসল আবাদে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। এমতাবস্থায়, কাজু বাদাম ও কফির উৎপাদন বৃদ্ধি,
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য গুণগতমান
সম্পন্ন ও নিরাপদ খাদ্য চাহিদা পূরণ, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও টেকসই উন্নয়ন
অভীষ্ট (এসডিজি ) বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০১৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে
কৃষি ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে
এবং সহনীয় কৃষি ব্যাবস্থার উপর গবেষণা ও উন্নত জাত ও কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উদ্দেশে
"কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্পসারণ " শীর্ষক এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা
হয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য :
সামগ্রিক
উদ্দেশ্য: ডিএই অঙ্গ:
প্রকল্পের
সামগ্রিক উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি জেলার ২৫টি উপজেলাসহ অন্যান্য
উপযোগী এলাকায় কফি ও কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং
বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকের আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার টেকসই
উন্নয়ন।
সুনিদিষ্ট উদ্দেশ্য :
১. কাজুবাদাম ও কফির জাত ও ব্যাবস্থাপনা প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং
সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন ৫০% বৃদ্ধি এবং বিদ্যমান উৎপাদন এলাকা বাড়িয়ে ২০০০ হেক্টর হতে ৬০০০ হেক্টর পর্যন্ত বৃদ্ধি।
২. উৎপাদিত
কাজুবাদাম এবং কফির দাতের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি
আয় বৃদ্ধি।
৩. প্রকল্প
এলাকায় কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়ন (৪৯৫০০ জন কৃষক/কৃষাণী প্রশিক্ষণ),কর্মসূষ্ঠানের সুযোগ
সৃষ্টিসহ দারিদ্র বিমোচন ও পুষ্টিমান উন্নয়নে সহায়তা।
৪. পাহাড়ি
এলাকায় পতিত জমি কাজে লাগিয়ে স্বল্প পুঁজিতে আগ্রহী ও অগ্রগণ্য কৃষকদের দ্বারা উৎপাদিত
কাজুবাদাম ও কফি প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ করা।
প্রকল্প প্রোফাইল :
পিইসি সভায়
অনুমোদন : ২৩/০৯/২০২০ খ্রী:
একনেক সভায়
অনুমোদন : ১৬/০২/২০২১ খ্রী:
পরিকল্পনা
বিভাগ কর্তৃক অনুমোদন : ০৮/০৩/২০২১ খ্রী:
প্রশাসনিক
অনুমোদন : ৩০/০৩/২০২১ খ্রী:
মোট প্রকল্প বায় (কোটি টাকায় ):
(ক) মোট : ২১১৮৪৭৫
(খ) জিওবি : ২১১৮৪৭৫
(গ) প্রকল্প সাহায্য : _
প্রকল্পের মেয়াদকাল :
(ক) আরম্ভ
: জানুয়ারী ২০২১
(খ) সমাপি
: ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকল্প এলাকা (ডিএই অংগ)
৭টি বিভাগের ১৯টি জেলার ৬৬ টি উপজেলা ও ৩০ টি হর্টিকালচার সেন্টার
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম :
ডিএই অঙ্গ:
১. কাজুবাদাম
এর ৫২৫০টি এবং কফির ৫২৫০টি প্রদর্শনী স্থাপন।
২. ৪৯,৫০০
জন (১৬৫০ ব্যাচ) কৃষক, ২৪০ জন (৮ ব্যাচ) এসএএও, ২৪০ জন ( ৮ ব্যাচ) কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ
ও ২০ টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ।
৩. কাজুবাদাম
এবং কফির আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তি, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ
বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য ১০৬ জন সম্প্রসারণ কর্মী ও বিজ্ঞানীর বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও
এক্সপোজার ভিজিটের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪. কৃষক
গ্রপের মধ্যে ১৫০ সেট কফি প্রসেসিং যন্ত্রপতি ও সরঞ্জামাদি প্রদান।
৫.কাজুবাদাম ও কফির চারা/কলম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে হর্টিকালচার সেন্টার সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
বাস্তবায়ন ব্যবস্থা (Implementation Arrangement):
ডিএই অংগ :
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের জনবল সরাসরি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা পর্যায়ে ১ জন প্রকল্প পরিচালক, ২ জন সিনিয়র মনিটরিং অফিসার থাকবেন। সহায়ক জনবল হিসেবে ১ জন প্রধান সহকারী কাম একাউন্টেন্ট, ১ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ১ জন অফিস সহায়ক (এমএলএসএস ) থাকবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়
পর্যায়ে প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (project steering committee-PSC) এবং কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (Project implementation committee- PIC)
- এর তত্ত্বাবধানে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পের
ফলাফল (Outcome) :
ডিএই অংগ :
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান সংস্থা। সংস্থাটির প্রধান কাজ হলো-কৃষি প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা সংস্থা কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের বিভিন্ন শস্য, শাক- সবজি ও ফল চায়ে প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা। এছাড়াও, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম), ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি, হালনাগাদ প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষককে অবহিত ও অনুশীলনও এ সংস্থা করে থাকে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াকরণের জন্য উদ্যোক্তা তৈরী করা এবং কফির প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কৃষক গ্রপকে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা এবং কফি ও কাজুবাদামের উন্নত জাতের চারা/কলম পৃথিবীর অন্য যে সকল দেশে ভাল হয় সেখান থেকে আমদানী করে প্রকল্প এলাকার হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে চারা/কলম তৈরি করে কৃষকের মাঝে প্রদর্শনী আকারে সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। এতে সকল এলাকায় উদ্যান ফসল সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। শস্যের নিবিড়তা বাড়বে (বর্তমানে ১৭৪.৩০%)। প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং আধুনিক জাতের কফি ও কাজুবাদামের চারা/কলম উৎপাদন ও সরবরাহের মাধ্যমে এ সকল ফসলের উৎপাদন ৫০% বৃদ্ধি পাাবে। পতিত পাহাড়ী জমি ব্যবহারের মাধ্যমে কফি ও কাজুবাদামের উৎপাদন বাড়ানো হবে। প্রকল্প এলাকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি সমগ্রিকভাবে জাতীয় কৃষিতে প্রতিফলিত হবে।
মহিলা দলের উন্নয়ন:
কাজুবাদাম
ও কফি উৎপাদন সংগ্রহ, শুকানো ও সংরক্ষণ কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে
কাজুবাদাম ও কফির ফল থেকে কাজুবাদাম ও কফিবীন সংগ্রহের সময় অবশ্যই শ্রমিকের মাধ্যমে
সমাধান করতে হয়। তাছাড়া আধুনিক মেশিনে প্রক্রিয়াজাত করা হলেও সেখানে পিলিং ও গ্রেডিং
ইত্যাদি কাজে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। সেখানে উল্লেখ্য যে, কাজুবাদামের উৎপাদন শিল্পের
সাথে জড়িত প্রায় ৯০ ভাগ শ্রমিকই নারী। তাই এই শিল্পকে নারী বান্ধব বিশেষ করে অবহেলিত
নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দৈনিক ৪ (চার) টন কাজুবাদাম প্রক্রিয়া জাত হয় এমন
ফ্যাক্টরীতে দৈনিক প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অনুরুপ ভাবে কফি সংগ্রহে,
শুকানো ও সংরক্ষণ কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।
প্রকল্প
এলাকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্পের একটি প্রধান উদ্দেশ্য। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব
দিয়ে সেন্টার স্থাপন কাজের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি চারা-কলম উৎপাদন, নার্সারী
স্থাপন, বাগান পরিচর্য, ব্যাগিং, ফল সংগ্রহ, বাছাই এবং খামারে মোড়কজাত করা ইত্যাদি
কাজে নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। এভাবেই এ
এলাকার নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজে তাঁদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে
এই প্রকল্প ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
পুষ্টিচাহিদা পূরণ:
প্রকল্প
বাস্তবায়ন প্রাক্কালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও পুরুষ উৎপাদন এবং উৎপাদন- উত্তর বিভিন্ন
কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকে। কর্মসংস্থান, আয়-বর্ধন, পুষ্টি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির
মাধ্যমে এসব খামারী এবং অ-খামারী লোকদের সচেতনতাও বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্প এলাকায় হর্টিকালচার
সেন্টার স্থাপনের ফলে উদ্যান ফসল বিশেষ করে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং সরবরাহ বাড়বে।
এতে ফল থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ভিটামিন এবং খনিজ লবনের ঘাটতি পূরণ হবে
এবং এলাকার জনগনের পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
কম খরচে স্থানীয় সম্পদের ব্যবহার:
সুষ্ঠু
বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্পে সম্পদের সঠিক ব্যবহার। প্রকল্পের প্রভাবে স্থানীয় সরঞ্জামাদি,
শ্রম এবং জৈব সারেরর চাহিদ বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের মাঠ থেকে উৎপাদিত পণ্য বাজারে স্থানান্তরের
ফলে স্থানীয় ভাবে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের (ফরওর্য়াড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ) ব্যবহার বাড়বে।
সর্বোপরি প্রকল্পে স্থানীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।