সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০২২-০৯-২১ ১১:১২:২৮
প্রকল্পের কার্যক্রম ও ফলাফল
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম :
ডিএই অংগঃ
১. কাজুবাদাম
এর ৫২৫০টি এবং কফির ৫২৫০টি প্রদর্শনী স্থাপন।
২. ৪৯,৫০০
জন (১৬৫০ ব্যাচ) কৃষক, ২৪০ জন (৮ ব্যাচ) এসএএও, ২৪০ জন ( ৮ ব্যাচ) কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ
ও ২০ টি উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমণ।
৩. কাজুবাদাম
এবং কফির আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তি, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ
বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য ১০৬ জন সম্প্রসারণ কর্মী ও বিজ্ঞানীর বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও
এক্সপোজার ভিজিটের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪. কৃষক
গ্রপের মধ্যে ১৫০ সেট কফি প্রসেসিং যন্ত্রপতি ও সরঞ্জামাদি প্রদান।
৫.কাজুবাদাম ও কফির চারা/কলম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে হর্টিকালচার সেন্টার সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
বাস্তবায়ন ব্যবস্থা
(Implementation Arrangement):
ডিএই অংগ :
কৃষি মন্ত্রণালয়ের
আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের জনবল সরাসরি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প
বাস্তবায়নের জন্য কর্মকর্তা পর্যায়ে ১ জন প্রকল্প পরিচালক, ২ জন সিনিয়র মনিটরিং অফিসার
থাকবেন। সহায়ক জনবল হিসেবে ১ জন প্রধান সহকারী কাম একাউন্টেন্ট, ১ জন অফিস সহকারী কাম
কম্পিউটার অপারেটর ও ১ জন অফিস সহায়ক (এমএলএসএস ) থাকবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়
পর্যায়ে প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (project steering committee-PSC) এবং কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (Project implementation committee- PIC)
- এর তত্ত্বাবধানে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পের ফলাফল (Outcome) :
ডিএই অংগ
কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান সংস্থা।
সংস্থাটির প্রধান কাজ হলো-কৃষি প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা সংস্থা কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত
জাতের বিভিন্ন শস্য, শাক- সবজি ও ফল চায়ে প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা। এছাড়াও, সমন্বিত
বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম), ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি, হালনাগাদ প্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষককে অবহিত ও অনুশীলনও এ সংস্থা
করে থাকে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কাজুবাদাম প্রক্রিয়াকরণের জন্য উদ্যোক্তা তৈরী করা এবং
কফির প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কৃষক গ্রপকে যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা এবং কফি ও কাজুবাদামের
উন্নত জাতের চারা/কলম পৃথিবীর অন্য যে সকল দেশে ভাল হয় সেখান থেকে আমদানী করে প্রকল্প
এলাকার হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে চারা/কলম তৈরি করে কৃষকের মাঝে প্রদর্শনী আকারে
সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। এতে সকল এলাকায় উদ্যান ফসল সম্প্রসারণ
ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। শস্যের নিবিড়তা বাড়বে (বর্তমানে ১৭৪.৩০%)। প্রযুক্তি সম্প্রসারণ
এবং আধুনিক জাতের কফি ও কাজুবাদামের চারা/কলম উৎপাদন ও সরবরাহের মাধ্যমে এ সকল ফসলের
উৎপাদন ৫০% বৃদ্ধি পাাবে। পতিত পাহাড়ী জমি ব্যবহারের মাধ্যমে কফি ও কাজুবাদামের উৎপাদন
বাড়ানো হবে। প্রকল্প এলাকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি সমগ্রিকভাবে জাতীয় কৃষিতে প্রতিফলিত
হবে।
মহিলা দলের উন্নয়নঃ
কাজুবাদাম
ও কফি উৎপাদন সংগ্রহ, শুকানো ও সংরক্ষণ কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে
কাজুবাদাম ও কফির ফল থেকে কাজুবাদাম ও কফিবীন সংগ্রহের সময় অবশ্যই শ্রমিকের মাধ্যমে
সমাধান করতে হয়। তাছাড়া আধুনিক মেশিনে প্রক্রিয়াজাত করা হলেও সেখানে পিলিং ও গ্রেডিং
ইত্যাদি কাজে শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। সেখানে উল্লেখ্য যে, কাজুবাদামের উৎপাদন শিল্পের
সাথে জড়িত প্রায় ৯০ ভাগ শ্রমিকই নারী। তাই এই শিল্পকে নারী বান্ধব বিশেষ করে অবহেলিত
নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। দৈনিক ৪ (চার) টন কাজুবাদাম প্রক্রিয়া জাত হয় এমন
ফ্যাক্টরীতে দৈনিক প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। অনুরুপ ভাবে কফি সংগ্রহে,
শুকানো ও সংরক্ষণ কাজে প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।
প্রকল্প
এলাকার নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্পের একটি প্রধান উদ্দেশ্য। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব
দিয়ে সেন্টার স্থাপন কাজের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি চারা-কলম উৎপাদন, নার্সারী
স্থাপন, বাগান পরিচর্য, ব্যাগিং, ফল সংগ্রহ, বাছাই এবং খামারে মোড়কজাত করা ইত্যাদি
কাজে নারীদের প্রাধান্য দেয়া হবে। এভাবেই এ
এলাকার নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজে তাঁদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে
এই প্রকল্প ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
পুষ্টিচাহিদা পূরণঃ
প্রকল্প
বাস্তবায়ন প্রাক্কালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও পুরুষ উৎপাদন এবং উৎপাদন- উত্তর বিভিন্ন
কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকে। কর্মসংস্থান, আয়-বর্ধন, পুষ্টি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতির
মাধ্যমে এসব খামারী এবং অ-খামারী লোকদের সচেতনতাও বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্প এলাকায় হর্টিকালচার
সেন্টার স্থাপনের ফলে উদ্যান ফসল বিশেষ করে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং সরবরাহ বাড়বে।
এতে ফল থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ভিটামিন এবং খনিজ লবনের ঘাটতি পূরণ হবে
এবং এলাকার জনগনের পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
কম খরচে স্থানীয় সম্পদের ব্যবহারঃ
সুষ্ঠু
বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্পে সম্পদের সঠিক ব্যবহার। প্রকল্পের প্রভাবে স্থানীয় সরঞ্জামাদি,
শ্রম এবং জৈব সারেরর চাহিদ বৃদ্ধি পাবে। কৃষকদের মাঠ থেকে উৎপাদিত পণ্য বাজারে স্থানান্তরের
ফলে স্থানীয় ভাবে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের (ফরওর্য়াড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ) ব্যবহার বাড়বে।
সর্বোপরি প্রকল্পে স্থানীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।